চক্ষুষ্মতী গান্ধারী’ আলেখ্যে গান্ধারী জীবন সায়াহ্নে এসে স্মৃতিচারণ করেছেন। সেখানে ভীষ্ম, ব্যাস, কৃষ্ণ সবাই তাঁর প্রশ্নের সম্মুখীন।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে এক নিশীথে ব্যাস মৃত আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন মায়া-বাস্তবতায় বা অলৌকিক প্রচ্ছন্নতায়। সঙ্গে হস্তিনাপুরের বিধবা কৌরব-বধূরা, কুন্তি, গান্ধারী সবাই ছিলেন। সারা রাত ধরে এই মৃত-আত্মীয় সম্মিলন অন্তে সকলেই আশ্রমে ফিরে এসেছিলেন, ফেরেননি শুধু কৌরব-বিধবারা। গান্ধারি এখনও মনে করতে পারছেন যে, মহর্ষি বলেছিলেন, যেসব বিধবা বধূরা পতিদের সঙ্গে পতিলোকে যেতে চান, তাঁরা বিদায়কালে পতিদের সঙ্গী হতে পারবেন। এ ব্যাপারে গান্ধারী আজও প্রশ্নাতুর।
সেই নিশি শেষে গান্ধারি গঙ্গাগর্ভে তুমুল আলোড়ন এবং কোলাহল শুনেছিলেন। তবে কি বধূদের সলিল সমাধির ব্যবস্থা করেছিলেন ঋষি?
মিহির সেনগুপ্ত এ উপন্যাসে দেখিয়েছেন, স্বেচ্ছায় অন্ধত্ব বরণ করে নেওয়া গান্ধারী মহাভারতে প্রকৃতপক্ষেই অনেক বেশি দেখতে পেয়েছেন। চোখ দিয়েই তো শুধু মানুষ দেখে না।
তিনি চক্ষুষ্মতী। যা ওপর থেকে দেখা যায় না, তাও তিনি দেখতে পান।
Chokhusmati Gandhari || Mihir Sengupta || চক্ষুষ্মতী গান্ধারী ||
Book - চক্ষুষ্মতী গান্ধারী
Author - মিহির সেনগুপ্ত
Binding - Hardcover
Publishing Date - 2022
Publisher - Suprokash Publisher
Cover/প্রচ্ছদ - Soujanya Chakraborty
Language - Bengali